20 more cheetahs brought from south africa 2025: দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা এবার পাড়ি দিচ্ছে গান্ধীসাগরে

Published On:
পরীক্ষা প্রস্তুতি অ্যাপ:
  

20 more cheetahs brought from south africa 2025 : একসময় ভারত ছিল চিতার বাসস্থান। তবে গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে চিতা ভারতের বুক থেকে চিরতরে মুছে গিয়েছিল। প্রায় সাত দশক পর, ২০২২ সালে আবারও এই বিলুপ্ত প্রাণীকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা ভারতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

20 more cheetahs brought from south africa 2025

20 more cheetahs brought from south africa 2025 :: ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়। এই চিতাগুলিকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখান থেকেই শুরু হয় ‘চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প’। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, চিতাকে ভারতের বন্যপ্রাণী পরিবেশের অংশ করে তোলা।

পরবর্তী বছর, ২০২৩ সালে আরও ১২টি চিতা আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। কুনো জাতীয় উদ্যানে তাদেরও মুক্ত করা হয়। তবে এই প্রকল্পের পথে কিছু বাধাও আসে। কুনোর আবহাওয়া ও বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে চিতারা পুরোপুরি খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। এর ফলে অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে ১১টি চিতার মৃত্যু হয়।

নতুন বছর, নতুন পরিকল্পনা

20 more cheetahs brought from south africa 2025: ২০২৪ সালে এই প্রকল্প আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ২০টি চিতা ভারতে আনা হবে। তবে এবার তাদের স্থানান্তর করা হবে মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যানে। কুনোর তুলনায় গান্ধীসাগরের পরিবেশ চিতাদের জন্য উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

গান্ধীসাগরে চিতাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে চিতল হরিণের মতো শিকার আনা হয়েছে। পাশাপাশি, কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে একটি মা চিতা ও তার দুই সন্তানকে গান্ধীসাগরে ছেড়ে দেওয়া হবে, যাতে তারা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং নতুন জায়গায় চিতাদের মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেমিস্টার পদ্ধতি আনছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

চিতার ভবিষ্যৎ ভারতে

20 more cheetahs brought from south africa 2025: ভারতে চিতা পুনর্বাসনের এই প্রকল্প নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। একদিকে, এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি সাহসী পদক্ষেপ; অন্যদিকে, কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাদের মৃত্যুর হার প্রকল্পের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে। তবে গান্ধীসাগরে চিতাদের জন্য নেওয়া নতুন ব্যবস্থা সফল হলে, এটি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে দৃঢ় ভিত্তি দেবে।

চিতার প্রত্যাবর্তন শুধুমাত্র ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রচেষ্টার একটি অংশ নয়, এটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গান্ধীসাগর জাতীয় উদ্যানে নতুন চিতাদের আগমন প্রকল্পকে একটি নতুন দিশা দিতে পারে। সময়ই বলবে, এই প্রকল্প কতটা সফল হবে, তবে ভারতীয় বন্যপ্রাণীর ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।

আমাদের যে কোনো E-Book সরাসরি WhatsApp এর মাধ্যমে কিনতে বা কোনো সমস্যা হলে নিচের বটনে ক্লিক করে মেসেজ করুন -

Share This:

Leave a Comment

Our Student's Success

Item added to cart.
0 items - 0.00
× close ad