সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নতুন একটি প্রকল্প চালু করার ঘোষণা করেছে, যা আহতদের দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি সম্প্রতি এই প্রকল্পের কথা জানান।
Cashless Treatment Scheme Update 2025
এই প্রকল্পের আওতায়:
- সড়ক দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে।
- চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ ক্যাশলেস পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে।
- দুর্ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ঘটনা পুলিশকে জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রেই আহত ব্যক্তি এই সুবিধা পাবেন।
হিট অ্যান্ড রান কেসে বিশেষ ক্ষতিপূরণ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, হিট অ্যান্ড রান কেসে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এটি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা হবে।
Target Madhymik Suggestion 2025: মাধ্যমিক 2025 এর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাজেশন
সড়ক দুর্ঘটনার উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান
নীতিন গডকড়ি সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। ২০২৪ সালে:
- ১.৮০ লাখ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
- এর মধ্যে ৩০ হাজার ব্যক্তি মৃত্যু হয় বাইক চালানোর সময় হেলমেট না পরার কারণে।
- মৃতদের মধ্যে ৬৬ শতাংশের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।
- সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ হাজার শিশু মারা গেছে, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবের কারণে ঘটেছে।
প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
শহরভিত্তিক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান
ভারতের প্রধান শহরগুলির মধ্যে দিল্লি সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে।
- দিল্লিতে ১,৪৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
- বেঙ্গালুরুতে ৯১৫ জন এবং জয়পুরে ৮৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ট্রাফিক আইন এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি
মন্ত্রী গডকড়ি আরও বলেন যে:
- রাস্তায় ট্রাক পার্কিং দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলির একটি।
- অনেক ট্রাক লেনের শৃঙ্খলা অনুসরণ না করায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
- স্কুল এবং কলেজগুলির গেটে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে শিশুদের মৃত্যু ঘটছে। এ বিষয়ে অটো এবং বাসের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
Cashless Treatment Scheme Update
কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে এটি ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তাও স্মরণ করিয়ে দেয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নতির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।